Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আগামী ১৫ মে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ শুরু............
বিস্তারিত

সারা দেশ আবার ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ শুরু হচ্ছে মে মাসে। উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আগামী ১৫ মে শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮ মাস ধরে হালনাগাদকরণের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিন ধাপে পর্যায়ক্রমে চলবে এ কার্যক্রম। এ সময় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি মৃত ভোটারের নাম কর্তন ও স্থানান্তরের কার্যক্রম চলবে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকাভুক্তদের ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হবে। এক্ষেত্রে ঠিকানাবিহীন বা ভুয়া ভোটার পাওয়া গেলে তাদের তালিকা থেকে বাতিল করা হবে। হালনাগাদে তালিকাভুক্তিদের সাধারণ কার্ডের পরিবর্তে স্মার্ট (ডিজিটাল) কার্ড দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৫ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে শিগগিরই কমিশন সভায় প্রস্তাব তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কমিশন সভার জন্য প্রস্তাবনা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট শাখা। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরের পর প্রস্তাবনাটি কমিশন সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। ওই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। একই সঙ্গে কিভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে গাইড লাইন তৈরি করা হবে।

সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারকের দেয়া দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি তিনি আগামী ১৫ মে থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু ও এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ফাইল তৈরির জন্য একটি নোট দিয়েছেন। ওই নোট অনুযায়ী প্রস্তাবনা তৈরি করেছে কমিশন সচিবালয়। এছাড়া ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী প্রতি বছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কখনোই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে পারেনি কমিশন। সুবিধাজনক সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ রোববার যুগান্তরকে বলেন, প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে তা করা সম্ভব হয় না। চলতি বছরে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে কমিশন সভায় এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মোঃ সালেহ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, হালনাগাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাইনি। কমিশন সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী মে বা জুন মাসে ঢাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু করতে পারব। এটা সম্ভব হবে নতুন ভোটাররা অবশ্যই স্মার্ট কার্ড পাবেন। এ বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে। ইসি সূত্র জানায়, প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করবেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ জন্য প্রতিটি এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা এক মাস সময় পাবেন। ওই সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্দিষ্ট স্থানে ভোটারদের ছবি তোলা হবে। ছবি তোলার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হবে। আগামী মধ্য নভেম্বরে ভোটার তালিকার খসড়া তৈরি করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করা হবে। নতুন তালিকাভুক্তদের কার্ড দেয়া হবে। যেসব ব্যক্তি মারা গেছেন তাদের নাম হালনাগাদে বাদ দেয়া হবে। বিদ্যমান ভোটারদের ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হবে। যেসব ভোটারের ঠিকানা পাওয়া যাবে না তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের সম্মতি পাওয়া গেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্য আগাম সংগ্রহ করবেন তথ্য সংগ্রহকারী কর্মকর্তারা। ওই সব তথ্য কমিশনের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে। তবে তাদের ভোটার করা হবে না। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা হবে। সারা দেশে তিন ধাপে প্রায় ৮ মাসে এ কাজ চলবে। ভৌগোলিক অবস্থান, বন্যা, দুর্গম এলাকা, শহর, গ্রাম- এসব বিষয় বিবেচনা করে তিন ধাপে কার্যক্রম পরিচালনা করা হতে পারে। ২০১২ সালে মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার ধাপে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল। কমিশন কর্মকর্তাদের মতে, ২০১২ সালে হালনাগাদ হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তুলনামূলক সহজ হবে। ব্যয় তেমন বাড়বে না।

ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/02/2014